কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি আলোচনা করো।
Posted by Ripon Abu Hasnat on Tuesday, February 23, 2016 | 0 comments
দেশের অর্থবাজারের অভিভাবক হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিচের গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলি করে থাকে-
মুদ্রা ও নোট প্রচলন : বিশ্বের প্রতিটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা ও নোট প্রচলনের একক অধিকার ভোগ করে। নোট ইস্যুর ক্ষেত্রে এই ব্যাংক ইস্যুকৃত নোটের মূল্যের বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট শতাংশ স্বর্ণ, রৌপ্য ও বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ রাখে।
সরকারের ব্যাংক : কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের ব্যাংক ও আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে, সরকারের তহবিল জমা রাখে, সরকারের পাওনা আদায় ও বিভিন্ন উৎসের দেনা পরিশোধসহ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে।
অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার : কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ অন্যান্য তালিকাভুক্ত ব্যাংকের ব্যাংকার হিসেবে কাজ করে। অন্যান্য ব্যাংকের নীতিনির্ধারণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে পরামর্শক ও নিয়ন্ত্রকের ভূমিকাও পালন করে।
ঋণ নিয়ন্ত্রণ : কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঋণের আধিক্য ও স্বল্পতা- দুটোই ক্ষতিকর। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন নীতি-কৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের জন্য দেশে ঋণের পরিমাণ কাম্য স্তরে রাখার চেষ্টা করে। এ জন্য অধ্যাপক শ (ঝযধ)ি বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন একটি ব্যাংক, যা ক্রেডিট নিয়ন্ত্রণ করে।'
বিনিময় নিয়ন্ত্রণ : কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তর্জাতিক লেনদেনে ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য মুদ্রার বিনিময় মূল্য নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করে।
নিকাশ ঘর : কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ব্যাংকের অভিভাবক হিসেবে নিকাশ ঘরের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে পারস্পরিক দেনা-পাওনার বিষয়টি নিষ্পত্তি করে।
নিরীক্ষণ : দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সঠিকভাবে তাদের খাতাপত্র ও হিসাবপত্র সংরক্ষণ করছে কি না তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্কতার সঙ্গে নিরীক্ষণ করে।
সর্বশেষ ঋণদাতা : কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ঋণ পাওয়ার শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। অধ্যাপক হট্টে বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো ঋণদানের শেষ আশ্রয়স্থল।'
ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়ন : কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন নিয়মনীতি নির্ধারণের মাধ্যমে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, নতুন শাখা প্রতিষ্ঠা ও ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে।
তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা : এ ব্যাংক সরকারের আর্থিক নীতি প্রণয়নে অর্থনৈতিক গবেষণা এবং এর সুবিধার্থে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ কার্য পরিচালনা করে।
মুদ্রা ও নোট প্রচলন : বিশ্বের প্রতিটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা ও নোট প্রচলনের একক অধিকার ভোগ করে। নোট ইস্যুর ক্ষেত্রে এই ব্যাংক ইস্যুকৃত নোটের মূল্যের বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট শতাংশ স্বর্ণ, রৌপ্য ও বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ রাখে।
সরকারের ব্যাংক : কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের ব্যাংক ও আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে, সরকারের তহবিল জমা রাখে, সরকারের পাওনা আদায় ও বিভিন্ন উৎসের দেনা পরিশোধসহ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে।
অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার : কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ অন্যান্য তালিকাভুক্ত ব্যাংকের ব্যাংকার হিসেবে কাজ করে। অন্যান্য ব্যাংকের নীতিনির্ধারণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে পরামর্শক ও নিয়ন্ত্রকের ভূমিকাও পালন করে।
ঋণ নিয়ন্ত্রণ : কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঋণের আধিক্য ও স্বল্পতা- দুটোই ক্ষতিকর। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন নীতি-কৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের জন্য দেশে ঋণের পরিমাণ কাম্য স্তরে রাখার চেষ্টা করে। এ জন্য অধ্যাপক শ (ঝযধ)ি বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন একটি ব্যাংক, যা ক্রেডিট নিয়ন্ত্রণ করে।'
বিনিময় নিয়ন্ত্রণ : কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তর্জাতিক লেনদেনে ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য মুদ্রার বিনিময় মূল্য নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করে।
নিকাশ ঘর : কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ব্যাংকের অভিভাবক হিসেবে নিকাশ ঘরের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে পারস্পরিক দেনা-পাওনার বিষয়টি নিষ্পত্তি করে।
নিরীক্ষণ : দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সঠিকভাবে তাদের খাতাপত্র ও হিসাবপত্র সংরক্ষণ করছে কি না তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্কতার সঙ্গে নিরীক্ষণ করে।
সর্বশেষ ঋণদাতা : কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ঋণ পাওয়ার শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। অধ্যাপক হট্টে বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো ঋণদানের শেষ আশ্রয়স্থল।'
ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়ন : কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন নিয়মনীতি নির্ধারণের মাধ্যমে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, নতুন শাখা প্রতিষ্ঠা ও ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে।
তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা : এ ব্যাংক সরকারের আর্থিক নীতি প্রণয়নে অর্থনৈতিক গবেষণা এবং এর সুবিধার্থে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ কার্য পরিচালনা করে।
দেশের অর্থবাজারের অভিভাবক হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিচের গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলি করে থাকে-
মুদ্রা ও নোট প্রচলন : বিশ্বের প্রতিটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা ও নোট প্রচলনের একক অধিকার ভোগ করে। নোট ইস্যুর ক্ষেত্রে এই ব্যাংক ইস্যুকৃত নোটের মূল্যের বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট শতাংশ স্বর্ণ, রৌপ্য ও বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ রাখে।
সরকারের ব্যাংক : কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের ব্যাংক ও আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে, সরকারের তহবিল জমা রাখে, সরকারের পাওনা আদায় ও বিভিন্ন উৎসের দেনা পরিশোধসহ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে।
অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার : কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ অন্যান্য তালিকাভুক্ত ব্যাংকের ব্যাংকার হিসেবে কাজ করে। অন্যান্য ব্যাংকের নীতিনির্ধারণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে পরামর্শক ও নিয়ন্ত্রকের ভূমিকাও পালন করে।
ঋণ নিয়ন্ত্রণ : কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঋণের আধিক্য ও স্বল্পতা- দুটোই ক্ষতিকর। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন নীতি-কৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের জন্য দেশে ঋণের পরিমাণ কাম্য স্তরে রাখার চেষ্টা করে। এ জন্য অধ্যাপক শ (ঝযধ)ি বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন একটি ব্যাংক, যা ক্রেডিট নিয়ন্ত্রণ করে।'
বিনিময় নিয়ন্ত্রণ : কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তর্জাতিক লেনদেনে ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য মুদ্রার বিনিময় মূল্য নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করে।
নিকাশ ঘর : কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ব্যাংকের অভিভাবক হিসেবে নিকাশ ঘরের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে পারস্পরিক দেনা-পাওনার বিষয়টি নিষ্পত্তি করে।
নিরীক্ষণ : দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সঠিকভাবে তাদের খাতাপত্র ও হিসাবপত্র সংরক্ষণ করছে কি না তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্কতার সঙ্গে নিরীক্ষণ করে।
সর্বশেষ ঋণদাতা : কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ঋণ পাওয়ার শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। অধ্যাপক হট্টে বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো ঋণদানের শেষ আশ্রয়স্থল।'
ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়ন : কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন নিয়মনীতি নির্ধারণের মাধ্যমে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, নতুন শাখা প্রতিষ্ঠা ও ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে।
তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা : এ ব্যাংক সরকারের আর্থিক নীতি প্রণয়নে অর্থনৈতিক গবেষণা এবং এর সুবিধার্থে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ কার্য পরিচালনা করে।
২। বাংলাদেশ ব্যাংকের গঠন ও কার্যাবলি অলোচনা করো।
উত্তর : বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম 'বাংলাদেশ ব্যাংক'। সাবেক 'স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান'-এর সব সম্পদ ও দায়দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত হয়। এ ব্যাংকের মূলধনের সবটাই পরিশোধ করেছে সরকার। তাই এটি একটি সম্পূর্ণ সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংক।
সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে একটি 'পরিচালনা পর্ষদ'-এর ওপর ন্যস্ত এ ব্যাংক। একজন গভর্নর, দুজন ডেপুটি গভর্নর এবং আটজন পরিচালক নিয়ে তিন বছরের জন্য সরকারের মনোনীত এ পর্ষদ। পদাধিকারবলে গভর্নর এ পরিচালক পর্ষদের সভাপতি ও ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী। ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যাবলি পরিচালনার জন্য একটি কার্যনির্বাহী কমিটি রয়েছে। এ কমিটির সদস্যরা হলেন গভর্নর, ডেপুটি গভর্নরদ্বয় এবং পরিচালকদের মধ্য থেকে সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন সদস্য। এ ব্যাংকের বিভিন্ন কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য কয়েকটি বিভাগ রয়েছে।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ন্যায় বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে থাকে। নিম্নে তা আলোচনা করা হলো-
নোট প্রচলন : বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কাজ হলো দেশের প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নোট প্রচলন করা। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রচলিত টাকার কাগজি নোট প্রচলন করে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক 'নূ্যনতম রিজার্ভ পদ্ধতি' অনুসরণ করে।
সরকারের ব্যাংক : বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের ব্যাংক ও আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে। সরকারের তহবিলে জমা রাখে, সরকারের পাওনা আদায় ও বিভিন্ন প্রকার দেনা পরিশোধসহ সরকারের আর্থিক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে।
অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার : বাংলাদেশ ব্যাংক এ দেশের সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ অন্যান্য তালিকাভুক্ত ব্যাংকের ব্যাংকার হিসেবে কাজ করে। ব্যাংকগুলোর নীতিনির্ধারণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে পরামর্শক ও নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে।
ঋণ নিয়ন্ত্রণ : ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ। কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঋণের আধিক্য ও স্বল্পতা- উভয়ই ক্ষতিকর। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন নীতি-কৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের আলোকে দেশে ঋণের পরিমাণ কাম্য স্তরে রাখার চেষ্টা করে।
বিনিময় নিয়ন্ত্রণ : বিনিময় হারের মাধ্যমে বৈদেশিক লেনদেন সংঘটিত হয়। নিজ দেশের সঙ্গে অন্য দেশের বিনিময় হার ঠিক রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম কাজ।
নিকাশ ঘর : বাংলাদেশ ব্যাংক সকল ব্যাংকের অভিভাবক হিসেবে নিকাশ ঘরের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে পারস্পরিক দেনা-পাওনার বিষয়টি নিষ্পত্তি করে।
নিরীক্ষা : দেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ সঠিকভাবে তাদের খাতাপত্র ও হিসাবপত্র সংরক্ষণ করছে কি না তা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দিষ্ট সময়ান্তে সতর্কতার সঙ্গে নিরীক্ষণ করে।
সর্বশেষ ঋণদাতা : বাংলাদেশ ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ঋণ লাভের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে।
মূল্যস্তরের স্থিতিশীলতা : বাংলাদেশ ব্যাংক দেশে মূল্যস্তরের স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে ব্যাংক হার পরিবর্তন, খোলাবাজার নীতি, নগদ জমার হার পরিবর্তন ইত্যাদি পদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রা সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে।
গবেষণা ও তথ্য উপস্থাপন : সরকার ও দেশবাসীর অবগতির জন্য দেশের অর্থনৈতিক কার্যাবলির তথ্য সংগ্রহ ও সংকলন, বিভিন্ন বিষয়ে বিবরণী প্রকাশ ও গবেষণা পরিচালনা করে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/education/2014/02/09/50183#sthash.DbT8nYwm.dpuf
মুদ্রা ও নোট প্রচলন : বিশ্বের প্রতিটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা ও নোট প্রচলনের একক অধিকার ভোগ করে। নোট ইস্যুর ক্ষেত্রে এই ব্যাংক ইস্যুকৃত নোটের মূল্যের বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট শতাংশ স্বর্ণ, রৌপ্য ও বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ রাখে।
সরকারের ব্যাংক : কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের ব্যাংক ও আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে, সরকারের তহবিল জমা রাখে, সরকারের পাওনা আদায় ও বিভিন্ন উৎসের দেনা পরিশোধসহ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে।
অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার : কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ অন্যান্য তালিকাভুক্ত ব্যাংকের ব্যাংকার হিসেবে কাজ করে। অন্যান্য ব্যাংকের নীতিনির্ধারণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে পরামর্শক ও নিয়ন্ত্রকের ভূমিকাও পালন করে।
ঋণ নিয়ন্ত্রণ : কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঋণের আধিক্য ও স্বল্পতা- দুটোই ক্ষতিকর। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন নীতি-কৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের জন্য দেশে ঋণের পরিমাণ কাম্য স্তরে রাখার চেষ্টা করে। এ জন্য অধ্যাপক শ (ঝযধ)ি বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন একটি ব্যাংক, যা ক্রেডিট নিয়ন্ত্রণ করে।'
বিনিময় নিয়ন্ত্রণ : কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তর্জাতিক লেনদেনে ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য মুদ্রার বিনিময় মূল্য নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করে।
নিকাশ ঘর : কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ব্যাংকের অভিভাবক হিসেবে নিকাশ ঘরের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে পারস্পরিক দেনা-পাওনার বিষয়টি নিষ্পত্তি করে।
নিরীক্ষণ : দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সঠিকভাবে তাদের খাতাপত্র ও হিসাবপত্র সংরক্ষণ করছে কি না তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্কতার সঙ্গে নিরীক্ষণ করে।
সর্বশেষ ঋণদাতা : কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ঋণ পাওয়ার শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। অধ্যাপক হট্টে বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো ঋণদানের শেষ আশ্রয়স্থল।'
ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়ন : কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন নিয়মনীতি নির্ধারণের মাধ্যমে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, নতুন শাখা প্রতিষ্ঠা ও ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে।
তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা : এ ব্যাংক সরকারের আর্থিক নীতি প্রণয়নে অর্থনৈতিক গবেষণা এবং এর সুবিধার্থে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ কার্য পরিচালনা করে।
২। বাংলাদেশ ব্যাংকের গঠন ও কার্যাবলি অলোচনা করো।
উত্তর : বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম 'বাংলাদেশ ব্যাংক'। সাবেক 'স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান'-এর সব সম্পদ ও দায়দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত হয়। এ ব্যাংকের মূলধনের সবটাই পরিশোধ করেছে সরকার। তাই এটি একটি সম্পূর্ণ সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংক।
সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে একটি 'পরিচালনা পর্ষদ'-এর ওপর ন্যস্ত এ ব্যাংক। একজন গভর্নর, দুজন ডেপুটি গভর্নর এবং আটজন পরিচালক নিয়ে তিন বছরের জন্য সরকারের মনোনীত এ পর্ষদ। পদাধিকারবলে গভর্নর এ পরিচালক পর্ষদের সভাপতি ও ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী। ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যাবলি পরিচালনার জন্য একটি কার্যনির্বাহী কমিটি রয়েছে। এ কমিটির সদস্যরা হলেন গভর্নর, ডেপুটি গভর্নরদ্বয় এবং পরিচালকদের মধ্য থেকে সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন সদস্য। এ ব্যাংকের বিভিন্ন কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য কয়েকটি বিভাগ রয়েছে।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ন্যায় বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে থাকে। নিম্নে তা আলোচনা করা হলো-
নোট প্রচলন : বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কাজ হলো দেশের প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নোট প্রচলন করা। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রচলিত টাকার কাগজি নোট প্রচলন করে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক 'নূ্যনতম রিজার্ভ পদ্ধতি' অনুসরণ করে।
সরকারের ব্যাংক : বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের ব্যাংক ও আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে। সরকারের তহবিলে জমা রাখে, সরকারের পাওনা আদায় ও বিভিন্ন প্রকার দেনা পরিশোধসহ সরকারের আর্থিক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে।
অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার : বাংলাদেশ ব্যাংক এ দেশের সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ অন্যান্য তালিকাভুক্ত ব্যাংকের ব্যাংকার হিসেবে কাজ করে। ব্যাংকগুলোর নীতিনির্ধারণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে পরামর্শক ও নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে।
ঋণ নিয়ন্ত্রণ : ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ। কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঋণের আধিক্য ও স্বল্পতা- উভয়ই ক্ষতিকর। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন নীতি-কৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের আলোকে দেশে ঋণের পরিমাণ কাম্য স্তরে রাখার চেষ্টা করে।
বিনিময় নিয়ন্ত্রণ : বিনিময় হারের মাধ্যমে বৈদেশিক লেনদেন সংঘটিত হয়। নিজ দেশের সঙ্গে অন্য দেশের বিনিময় হার ঠিক রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম কাজ।
নিকাশ ঘর : বাংলাদেশ ব্যাংক সকল ব্যাংকের অভিভাবক হিসেবে নিকাশ ঘরের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে পারস্পরিক দেনা-পাওনার বিষয়টি নিষ্পত্তি করে।
নিরীক্ষা : দেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ সঠিকভাবে তাদের খাতাপত্র ও হিসাবপত্র সংরক্ষণ করছে কি না তা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দিষ্ট সময়ান্তে সতর্কতার সঙ্গে নিরীক্ষণ করে।
সর্বশেষ ঋণদাতা : বাংলাদেশ ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ঋণ লাভের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে।
মূল্যস্তরের স্থিতিশীলতা : বাংলাদেশ ব্যাংক দেশে মূল্যস্তরের স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে ব্যাংক হার পরিবর্তন, খোলাবাজার নীতি, নগদ জমার হার পরিবর্তন ইত্যাদি পদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রা সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে।
গবেষণা ও তথ্য উপস্থাপন : সরকার ও দেশবাসীর অবগতির জন্য দেশের অর্থনৈতিক কার্যাবলির তথ্য সংগ্রহ ও সংকলন, বিভিন্ন বিষয়ে বিবরণী প্রকাশ ও গবেষণা পরিচালনা করে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/education/2014/02/09/50183#sthash.DbT8nYwm.dpuf
0 comments for "কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি আলোচনা করো।"
Leave a reply