ব্যাস্টিক অর্থনীতি
ব্যাস্টিক অর্থনীতি মুলতঃ ব্যক্তি এবং ফার্ম এর অর্থনৈতিক আচরণ নিয়ে এবং
তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক বাজার, বিরাজমান দুস্প্র্রাপ্যতা ও সরকারী
নিয়মাবলির মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে। ব্যাস্টিক অর্থনীতি হচ্ছে অর্থনীতির একটি
শাখা যা ব্যাক্তি, পরিবার ও ফার্ম কিভাবে বাজারে তাদের বণ্টনকৃত সীমিত
সম্পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা নিয়ে আলোচনা করে।
বাজার বলতে এখানে
দ্রব্য অথবা সেবাসমূহকে বোঝায় যা কেনা-বেচা করা হয়। দ্রব্য অথবা
সেবাসমূহের চাহিদা ও যোগান এইসব সিদ্ধান্ত ও আচরণের উপর কী-ভাবে প্রভাব
ফেলে ব্যাস্টিক অর্থনীতি
তা নিরীক্ষা করে। বাজারে অবশ্যই একটি দ্রব্য বিদ্যমান থাকবে। এই তত্ত্বে
প্রতিটি উপাদানকে ক্রেতা সামগ্রিক চাহিদার পরিমাণকে বিবেচনা করে এবং
বিক্রেতা সামগ্রিক যোগানের পরিমাণকে বিবেচনা করে। দাম ও চাহিদার উপর ভিত্তি
করে বাজার ভারসাম্যে পৌছে।
বৃহৎ দৃষ্টিতে একে চাহিদা এবং যোগানের বিশ্লেষণ
বলা হয়। বাজার কাঠামো যেমন পূর্ণ প্রতিযোগিতা এবং একচেটিয়া বাজার আচরণ ও
অর্থনৈতিক ইফিসিয়েন্সি এর জন্য বাধাস্বরূপ।সাধারণ অনুমিত শর্ত থেকে যখন
বিশ্লেষণ আরম্ভ হয় এবং বাজারের আন্যান্য আচরণ অপরিবর্তিত থাকে, তাকে আংশিক
ভারসাম্য বিশ্লেষণ বলা হয়। সাধারণ ভারসাম্য তত্ত্বে বিভিন্ন বাজারের
পরিবর্তন এবং সকল বাজারের সামগ্রিক পরিবর্তন এবং ভারসাম্যের বিপরীতে তাদের
গতিবিধি ও আন্তঃসম্পর্ক বিবেচনা করা হয়।
সামষ্টিক অর্থনীতি
সামষ্টিক অর্থনীতি অর্থনীতির নিয়ামকসমূহকে সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করে। সামগ্রিক বলতে জাতীয় আয় ও জাতীয় উৎপাদন,
বেকারত্বের হার ও মূদ্রাষ্ফীতিকে এবং আংশিক সামগ্রিক মোট ভোগ, বিনিয়োগ
ব্যায় ও তাদের উপাদানকে বুঝায়। আর্থিক নীতি ও রাজস্ব নীতিকেও ইহা অধ্যয়ন
করে। ১৯৬০ সাল থেকে সামষ্টিক অর্থনীতি আরও অনেক ক্ষেত্রে তার বিশ্লেষন
বৃদ্ধি করে যেমন, বিভিন্ন খাতের ব্যাষ্টিকভিত্তিক মডেল, ভোক্তার যৌক্তিকতা,
বাজার তথ্যের সঠিক ব্যাবহার, অসম্পূর্ন প্রতিযোগিতা। এছাড়াও সামষ্টিক
অর্থনীতি বিবেচনাধীন উপাদানসমূহের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এবং একটি দেশের ও
দেশের অভ্যন্তরে জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি নিয়েও বিশ্লেষন করে।
উপাদানসমূহের মধ্যে মূলধন, প্রযুক্তি ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য।
Tagged with
অর্থনীতি,
বাংলা ভার্সন,
সর্বশেষ
প্রেষণা হলো শ্রমিক-কর্মচারীকে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে
কর্মে উদ্দীপ্ত করা। যে কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের চারটি উদ্দেশ্য থাকে
যথা: বিক্রয় তথা রাজস্ব বৃদ্ধি, মুনাফা বৃদ্ধি, বাজার বৃদ্ধি এবং গুডউইল
বৃদ্ধি। শ্রমিক-কর্মচারীরা আন্তরিকভাবে সক্রিয় না হলে এই উদ্দেশ্যাবলী
আদায় হবে না। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাস্ত্রের অন্যতম লক্ষ্য হলো কীভাবে
শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যানুযায়ী কাজে ব্যাপৃত করা যায়
তা নিয়ে আলোচনা করা।

অ্যাব্রাহাম মাসলো বলেছেন মানুষের অনেক চাহিদা থাকে।
এই সব চাহিদা পূরণ করা হলে মানুষ কাজে উদ্দীপ্ত হয়। তিনি মানুষের সকল
চাহিদাকে ৫টি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই পাঁচ প্রকার চাহিদা
একটি নির্দিষ্ট ক্রমে কার্যকর হয়। সর্ব প্রথমে জৈবিক চাহিদাগুলো সক্রিয়
থাকে। সুতরাং প্রেষণার প্রথম ধাপ হবে এই সব জৈবিক চাহিদা পূরণ করা। লো হলো:
আহার, বাস্থান এবং লজ্জানিবারণের পোষাকআশাক। পরবর্তীতে যৌনতৃপ্তিকে এই
পর্যায়ে অন্তুর্ভুক্ত করা হয়েছে। চাহিদার দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে
নিরাপত্তর চাহিদা। জৈবিক চাহিদা পূরণ হওয়ার পর নিরাপত্তার চাহিদা সক্রিয়
হয়। জৈবিক চাহিদাগ ও নিরাপত্তার চাহিদা - এই দুটি স্তরের পর ক্রমান্বয়ে
সক্রিয় হয় সামাজি চাহিদা, মর্যাদার চাহিতা এবং আত্মোচরিতার্থতার চাহিদা।
মাসলোর মতে নিম্নতর চাহিদা পূরণ না হলে উচ্চতর চাহিদা সক্রিয় হয় না। আবার
একটি চাহিদা সর্বাংশে মিটে গেলে তা আর প্রেষণা সৃষ্টি করতে পারে না।
মাসলোর তত্ত্বটি তাৎপর্যময় কিন্তু গবেষণা দিয়ে এটিকে প্রতিপন্ন করা কঠিন।
তবে মাসলো যা উল্লেখ করেন নি তা হলো এই যে কর্মের ধরণ এবং প্রতিষ্ঠানের
কর্ম পরিবেশ শ্রমিক-কর্মচারীর প্রেষণা ব্যাপকভাবে প্রভাবান্বিত করে থাকে।
এই বিষয়টি হার্জবার্গ তাঁর তত্ত্বে উপস্থাপন করেছেন।
Tagged with
অর্থনীতি,
প্রেষণা,
বাংলা ভার্সন,
সর্বশেষ

দেশের অর্থবাজারের অভিভাবক হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিচের গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলি করে থাকে-
মুদ্রা ও নোট প্রচলন : বিশ্বের প্রতিটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা ও নোট প্রচলনের একক অধিকার ভোগ করে। নোট ইস্যুর ক্ষেত্রে এই ব্যাংক ইস্যুকৃত নোটের মূল্যের বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট শতাংশ স্বর্ণ, রৌপ্য ও বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ রাখে।
সরকারের ব্যাংক : কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের ব্যাংক ও আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে, সরকারের তহবিল জমা রাখে, সরকারের পাওনা আদায় ও বিভিন্ন উৎসের দেনা পরিশোধসহ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে।
অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার : কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ অন্যান্য তালিকাভুক্ত ব্যাংকের ব্যাংকার হিসেবে কাজ করে। অন্যান্য ব্যাংকের নীতিনির্ধারণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে পরামর্শক ও নিয়ন্ত্রকের ভূমিকাও পালন করে।
ঋণ নিয়ন্ত্রণ : কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঋণের আধিক্য ও স্বল্পতা- দুটোই ক্ষতিকর। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন নীতি-কৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের জন্য দেশে ঋণের পরিমাণ কাম্য স্তরে রাখার চেষ্টা করে। এ জন্য অধ্যাপক শ (ঝযধ)ি বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন একটি ব্যাংক, যা ক্রেডিট নিয়ন্ত্রণ করে।'
বিনিময় নিয়ন্ত্রণ : কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তর্জাতিক লেনদেনে ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য মুদ্রার বিনিময় মূল্য নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করে।
নিকাশ ঘর : কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ব্যাংকের অভিভাবক হিসেবে নিকাশ ঘরের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে পারস্পরিক দেনা-পাওনার বিষয়টি নিষ্পত্তি করে।
নিরীক্ষণ : দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সঠিকভাবে তাদের খাতাপত্র ও হিসাবপত্র সংরক্ষণ করছে কি না তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্কতার সঙ্গে নিরীক্ষণ করে।
সর্বশেষ ঋণদাতা : কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ঋণ পাওয়ার শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। অধ্যাপক হট্টে বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো ঋণদানের শেষ আশ্রয়স্থল।'
ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়ন : কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন নিয়মনীতি নির্ধারণের মাধ্যমে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, নতুন শাখা প্রতিষ্ঠা ও ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে।
তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা : এ ব্যাংক সরকারের আর্থিক নীতি প্রণয়নে অর্থনৈতিক গবেষণা এবং এর সুবিধার্থে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ কার্য পরিচালনা করে।
দেশের অর্থবাজারের অভিভাবক হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিচের গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলি করে থাকে-
মুদ্রা ও নোট প্রচলন : বিশ্বের প্রতিটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা ও
নোট প্রচলনের একক অধিকার ভোগ করে। নোট ইস্যুর ক্ষেত্রে এই ব্যাংক ইস্যুকৃত
নোটের মূল্যের বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট শতাংশ স্বর্ণ, রৌপ্য ও বৈদেশিক
মুদ্রা রিজার্ভ রাখে।
সরকারের ব্যাংক : কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের ব্যাংক ও আর্থিক উপদেষ্টা
হিসেবে কাজ করে, সরকারের তহবিল জমা রাখে, সরকারের পাওনা আদায় ও বিভিন্ন
উৎসের দেনা পরিশোধসহ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে।
অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার : কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ
অন্যান্য তালিকাভুক্ত ব্যাংকের ব্যাংকার হিসেবে কাজ করে। অন্যান্য ব্যাংকের
নীতিনির্ধারণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে পরামর্শক ও নিয়ন্ত্রকের ভূমিকাও পালন
করে।
ঋণ নিয়ন্ত্রণ : কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঋণের আধিক্য ও স্বল্পতা-
দুটোই ক্ষতিকর। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন নীতি-কৌশল নির্ধারণ ও
বাস্তবায়নের জন্য দেশে ঋণের পরিমাণ কাম্য স্তরে রাখার চেষ্টা করে। এ জন্য
অধ্যাপক শ (ঝযধ)ি বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন একটি ব্যাংক, যা ক্রেডিট
নিয়ন্ত্রণ করে।'
বিনিময় নিয়ন্ত্রণ : কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তর্জাতিক লেনদেনে ভারসাম্য ও
স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য মুদ্রার বিনিময় মূল্য নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ
করে।
নিকাশ ঘর : কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ব্যাংকের অভিভাবক হিসেবে নিকাশ ঘরের
মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে পারস্পরিক দেনা-পাওনার বিষয়টি নিষ্পত্তি
করে।
নিরীক্ষণ : দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সঠিকভাবে তাদের খাতাপত্র ও
হিসাবপত্র সংরক্ষণ করছে কি না তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্কতার সঙ্গে নিরীক্ষণ
করে।
সর্বশেষ ঋণদাতা : কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ঋণ পাওয়ার শেষ
আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। অধ্যাপক হট্টে বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো
ঋণদানের শেষ আশ্রয়স্থল।'
ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়ন : কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন নিয়মনীতি
নির্ধারণের মাধ্যমে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, নতুন শাখা প্রতিষ্ঠা ও ব্যাংকিং
কার্যক্রম সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে।
তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা : এ ব্যাংক সরকারের আর্থিক নীতি প্রণয়নে অর্থনৈতিক
গবেষণা এবং এর সুবিধার্থে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ কার্য পরিচালনা করে।
২। বাংলাদেশ ব্যাংকের গঠন ও কার্যাবলি অলোচনা করো।
উত্তর : বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম 'বাংলাদেশ ব্যাংক'। সাবেক
'স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান'-এর সব সম্পদ ও দায়দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশ
ব্যাংক গঠিত হয়। এ ব্যাংকের মূলধনের সবটাই পরিশোধ করেছে সরকার। তাই এটি
একটি সম্পূর্ণ সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংক।
সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে একটি 'পরিচালনা পর্ষদ'-এর
ওপর ন্যস্ত এ ব্যাংক। একজন গভর্নর, দুজন ডেপুটি গভর্নর এবং আটজন পরিচালক
নিয়ে তিন বছরের জন্য সরকারের মনোনীত এ পর্ষদ। পদাধিকারবলে গভর্নর এ পরিচালক
পর্ষদের সভাপতি ও ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী। ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যাবলি
পরিচালনার জন্য একটি কার্যনির্বাহী কমিটি রয়েছে। এ কমিটির সদস্যরা হলেন
গভর্নর, ডেপুটি গভর্নরদ্বয় এবং পরিচালকদের মধ্য থেকে সরকার কর্তৃক মনোনীত
একজন সদস্য। এ ব্যাংকের বিভিন্ন কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য কয়েকটি
বিভাগ রয়েছে।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ন্যায় বাংলাদেশের কেন্দ্রীয়
ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে থাকে।
নিম্নে তা আলোচনা করা হলো-
নোট প্রচলন : বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কাজ হলো দেশের প্রয়োজনের সঙ্গে
সামঞ্জস্য রেখে নোট প্রচলন করা। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রচলিত টাকার কাগজি নোট
প্রচলন করে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক 'নূ্যনতম রিজার্ভ পদ্ধতি' অনুসরণ
করে।
সরকারের ব্যাংক : বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের ব্যাংক ও আর্থিক উপদেষ্টা
হিসেবে কাজ করে। সরকারের তহবিলে জমা রাখে, সরকারের পাওনা আদায় ও বিভিন্ন
প্রকার দেনা পরিশোধসহ সরকারের আর্থিক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে।
অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার : বাংলাদেশ ব্যাংক এ দেশের সকল বাণিজ্যিক
ব্যাংকসহ অন্যান্য তালিকাভুক্ত ব্যাংকের ব্যাংকার হিসেবে কাজ করে।
ব্যাংকগুলোর নীতিনির্ধারণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে পরামর্শক ও নিয়ন্ত্রকের
ভূমিকা পালন করে।
ঋণ নিয়ন্ত্রণ : ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ।
কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঋণের আধিক্য ও স্বল্পতা- উভয়ই ক্ষতিকর। তাই
বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন নীতি-কৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের আলোকে দেশে
ঋণের পরিমাণ কাম্য স্তরে রাখার চেষ্টা করে।
বিনিময় নিয়ন্ত্রণ : বিনিময় হারের মাধ্যমে বৈদেশিক লেনদেন সংঘটিত হয়। নিজ
দেশের সঙ্গে অন্য দেশের বিনিময় হার ঠিক রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম কাজ।
নিকাশ ঘর : বাংলাদেশ ব্যাংক সকল ব্যাংকের অভিভাবক হিসেবে নিকাশ ঘরের
মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে পারস্পরিক দেনা-পাওনার বিষয়টি নিষ্পত্তি
করে।
নিরীক্ষা : দেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ সঠিকভাবে তাদের খাতাপত্র ও
হিসাবপত্র সংরক্ষণ করছে কি না তা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দিষ্ট সময়ান্তে
সতর্কতার সঙ্গে নিরীক্ষণ করে।
সর্বশেষ ঋণদাতা : বাংলাদেশ ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ঋণ লাভের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে।
মূল্যস্তরের স্থিতিশীলতা : বাংলাদেশ ব্যাংক দেশে মূল্যস্তরের স্থিতিশীলতার
লক্ষ্যে ব্যাংক হার পরিবর্তন, খোলাবাজার নীতি, নগদ জমার হার পরিবর্তন
ইত্যাদি পদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রা সংকোচন নিয়ন্ত্রণ
করে।
গবেষণা ও তথ্য উপস্থাপন : সরকার ও দেশবাসীর অবগতির জন্য দেশের অর্থনৈতিক
কার্যাবলির তথ্য সংগ্রহ ও সংকলন, বিভিন্ন বিষয়ে বিবরণী প্রকাশ ও গবেষণা
পরিচালনা করে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/education/2014/02/09/50183#sthash.DbT8nYwm.dpuf
Tagged with
অর্থনীতি,
কেন্দ্রীয় ব্যাংক,
বাংলা ভার্সন,
ব্যাংক,
সর্বশেষ
যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান অর্থবাজারের শীর্ষে অবস্থান করে দেশের অর্থ ও ব্যাংক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে, তাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক হচ্ছে সর্বোচ্চ ক্ষমতাপ্রাপ্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য মুনাফা সর্বোচ্চকরণ নয়। জনকল্যাণকে প্রাধান্য দেওয়াই এ ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য।
অধ্যাপক আর এস সেয়ার্সের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের একটি অঙ্গ, যা সরকারের অর্থনৈতিক নীতির সমর্থনে তার গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক কার্যক্রমের দায়িত্ব পালনসহ দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আচরণকে প্রভাবিত করে।
বিশ্বের প্রতিটি দেশে একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক আছে। যেমন- বাংলাদেশে 'বাংলাদেশ ব্যাংক', ইংল্যান্ডে 'ব্যাংক অব ইংল্যান্ড' এবং যুক্তরাষ্ট্রে 'ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম'।
যে
আর্থিক প্রতিষ্ঠান অর্থবাজারের শীর্ষে অবস্থান করে দেশের অর্থ ও ব্যাংক
ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে, তাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক হচ্ছে সর্বোচ্চ ক্ষমতাপ্রাপ্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য মুনাফা সর্বোচ্চকরণ নয়। জনকল্যাণকে
প্রাধান্য দেওয়াই এ ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য।
অধ্যাপক আর এস সেয়ার্সের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের একটি অঙ্গ, যা
সরকারের অর্থনৈতিক নীতির সমর্থনে তার গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক কার্যক্রমের
দায়িত্ব পালনসহ দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আচরণকে প্রভাবিত করে।
বিশ্বের প্রতিটি দেশে একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক আছে। যেমন- বাংলাদেশে
'বাংলাদেশ ব্যাংক', ইংল্যান্ডে 'ব্যাংক অব ইংল্যান্ড' এবং যুক্তরাষ্ট্রে
'ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম'।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/education/2014/02/09/50183#sthash.DbT8nYwm.dpuf
যে
আর্থিক প্রতিষ্ঠান অর্থবাজারের শীর্ষে অবস্থান করে দেশের অর্থ ও ব্যাংক
ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে, তাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক হচ্ছে সর্বোচ্চ ক্ষমতাপ্রাপ্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য মুনাফা সর্বোচ্চকরণ নয়। জনকল্যাণকে
প্রাধান্য দেওয়াই এ ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য।
অধ্যাপক আর এস সেয়ার্সের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের একটি অঙ্গ, যা
সরকারের অর্থনৈতিক নীতির সমর্থনে তার গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক কার্যক্রমের
দায়িত্ব পালনসহ দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আচরণকে প্রভাবিত করে।
বিশ্বের প্রতিটি দেশে একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক আছে। যেমন- বাংলাদেশে
'বাংলাদেশ ব্যাংক', ইংল্যান্ডে 'ব্যাংক অব ইংল্যান্ড' এবং যুক্তরাষ্ট্রে
'ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম'।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/education/2014/02/09/50183#sthash.DbT8nYwm.dpuf
Tagged with
অর্থনীতি,
বাংলা ভার্সন,
সর্বশেষ